বেসরকারি খাতে কনটেইনার পরিচালন কর্মকাণ্ড প্রতিবছরই বাড়ছে। এ খাতে যুক্ত ১৬টি কনটেইনার ডিপোতেও প্রতিযোগিতা বাড়ছে। তবে গত বছরের হিসাবে, কোম্পানি ও একক ডিপো হিসেবে কনটেইনার পরিচালন কর্মকাণ্ডে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে যথাক্রমে সামিট গ্রুপ ও এছাক ব্রাদার্স।
পণ্য রপ্তানি করার আগে কারখানা থেকে চট্টগ্রামের ১৬টি বেসরকারি ডিপোতে ট্রাক বা কাভার্ড এনে কনটেইনারে বোঝাই করা হয়। এরপর কনটেইনার ভর্তি রপ্তানি পণ্য বন্দর দিয়ে জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। মোট রপ্তানি পণ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ এই প্রক্রিয়ায় ডিপোগুলোর মাধ্যমে পরিবহন হয়।
এ ছাড়া ৩৭টি আমদানি পণ্য বন্দর থেকে সরাসরি এসব ডিপোতে এনে খালাস বাধ্যতামূলক। আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন বাড়ার সঙ্গে ডিপোতেও কর্মযজ্ঞ বাড়ছে। এসব ডিপোর গ্রাহকেরা হলো আমদানিকারক, রপ্তানি পণ্যের বিদেশি ক্রেতাদের প্রতিনিধি ও কনটেইনার মালিকপক্ষ।
বন্দর ও বেসরকারি কনটেইনার ডিপোর তথ্য অনুযায়ী, গত বছর চট্টগ্রামের ১৬টি ডিপোতে আমদানি-রপ্তানি পণ্যভর্তি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৬৪৩ একক কনটেইনার ওঠানো-নামানো হয়েছে। এর মধ্যে একক ডিপো হিসেবে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার পরিবহন করেছে এছাক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আমদানি ও রপ্তানি পণ্যভর্তি ৮৯ হাজার ৯৭৭ কনটেইনার (প্রতিটি ২০ ফুট দীর্ঘ হিসাবে) ওঠানো-নামানো হয়েছে এই ডিপোতে। কনটেইনারের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে পতেঙ্গায় লালদিয়ার চরে অবস্থিত ইনকনট্রেড লিমিটেড ও তৃতীয় অবস্থানে উত্তর পতেঙ্গায় অবস্থিত সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড (পূর্ব ও পশ্চিম)।
তবে কোম্পানি হিসেবে সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড (এসএপিএল) সবার শীর্ষে রয়েছে। এই ব্যবসায়ী গ্রুপের তিনটি ডিপোতে গত বছর ১ লাখ ৩৩ হাজার কনটেইনার ওঠানো-নামানো হয়েছে। গত বছর ১৬টি ডিপোতে যত কনটেইনার ওঠানো-নামানো হয়েছে, তার সাড়ে ১৮ শতাংশই করেছে সামিট।
এসএপিএলের নির্বাহী পরিচালক ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম মজুমদার গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, তিন ডিপো মিলে এসএপিএল সবচেয়ে বেশিসংখ্যক কনটেইনার পরিচালন কার্যক্রম করেছে। সেবার মান উন্নত রাখার কারণে বিশ্বখ্যাত গ্রাহকেরা এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আছে। ফলে প্রতিবছর কোম্পানির কার্যক্রম বাড়ছে।
বন্দরের ফটক থেকে আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এছাক ব্রাদার্স লিমিটেড এক দশক ধরে একক ডিপো হিসেবে আমদানি-রপ্তানি পণ্যভর্তি কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ক্যাপ্টেন (অব.) আহসান আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, বন্দরের কাছাকাছি অবস্থানের সুবিধার পাশাপাশি সেবার মানের কারণে গ্রাহকদের পছন্দ এই ডিপো। ফলে শুরু থেকেই এই ডিপো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।